Artificial intelligent বহুল পরিচিত এই শব্দটি
মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাশক্তিকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে মেশিন ল্যাঙ্গুয়েজ এ করার টেকনোলজি টাই হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
এর মাধ্যমেই যন্ত্র কিছু নির্দিষ্ট আওতাধীন কাজ নিজে থেকেই করতে পারে নিজে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।(artificial intelligence কি?)
এর ভবিষ্যদ্বাণী
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা AI নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী (Stephen hawking) আমার ভয় হয় তারা সত্যি হয়তো একদিন মানুষকে হটিয়ে নিয়ন্ত্রণের আসরে তারা নিজেই বসে যাবে।
যাইহোক রোবট বাই আই হয়তো একদিন মানুষকে নিজেদের দখলে নিয়ে নিবে অথবা নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করবে পুরো পৃথিবী কে আসুন আমরা জেনে নেই রোবট revolution ।(আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট কি?)
এটির নাম করন
যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ইনস্টিটিউট এমআইটি এর কম্পিউটার বিজ্ঞানী John Mccarthy ১৯৫৫ সালে এই প্রযুক্তির নাম দিয়েছিলেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।(what is artificial intelligence)
কম্পিউটার কিভাবে মানুষের মত চিন্তা করবে অথবা তথ্য অপূর্ণ সিদ্ধান্তকে পুরনো সিদ্ধান্ত রূপান্তর করবে , কিভাবে বিচক্ষণ এর সাথে পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে এই সমস্ত কাজের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর এত গবেষণা।(What AI explain in bangla)
এটির ব্যবহার সম্পর্কে
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বড় একটি ব্যবহার হলো অটমেশন বা স্বয়ংক্রিয়তা , যেমন টিকেট কাটা বা টাকা তোলার যন্ত্র হয়ে উঠেছে মানুষের স্বয়ংক্রিয়তা যন্ত্র বা অটো মেশিন কিন্তু এই স্বয়ংক্রিয়তা যন্ত্র ইনস্ট্রাকশন ভিত্তিক বা প্রোগ্রামেবল।
ধীরে ধীরে আমরা রিসেপশনে এবং কি রেস্টুরেন্ট এর বিভিন্ন রোবট বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, দাঁড়িয়ে থাকতে দেখব এবং কি এটির একটি ছোট্ট স্বয়ংক্রিয় হচ্ছে Apple AI Siri বা অ্যান্ড্রয়েডের গুগল নাউ
এবং আপনার বাসায় চলতে থাকা ছোট্ট অ্যামাজনের ইকো নামের রোবটটি বাহারি পণ্যগুলি আপনি যান ছিলনা প্রতিনিয়ত কোন কোন এআই আপনি আপনার ফোনে ব্যবহার করতেছেন।
Microsoft,Facebook,Google তাদের নিজেদের সিকিউরিটি এবং ব্যবহারকারী নিরাপত্তার জন্য এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফেক নিউজ অথবা গুজব উস্কানিমূলক পোস্ট এগুলো থেকে নিস্তার পেতে ফেসবুক ও তারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করছে।(artificial intelligence কি?)
এটির ক্ষতিকর দিক গুলি
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ক্ষতিকর দিক গুলির প্রদান এক ক্ষতি বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়া, যখন আপনি নিজে থেকে কাজ করার ক্ষমতা দিয়ে দিচ্ছেন সে তখন হাজার হাজার মানুষের কাজ একাই করে ফেলতে পারবে, এবং কি কোম্পানির মালিক গুলো তাদের লাভের দিকে তাকিয়ে মানুষকে কেন জবাব দিবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট কিনে নিবে, এমনকি তাকে অপারেট করার কোন দরকার নেই। (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি?)
হ্যাঁ বাত্তির নিচে অন্ধকার ঠিকই দেখতে পারছেন সব কাজ যদি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা করে ফেলে তাহলে মানুষ কি করবে কি করে চলবে কী করে তাদের ভরণপোষণ হবে , একটি নিউজে বলা হয়েছে যে আগামী ১৫ বছর পর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ব্যবহার করার ফলে প্রায় ৭০ কোটি মানুষকে কর্মহীন করবে , এর ভুক্তভোগী হবে সবচেয়ে বেশি নারীরা ।
আরো একটু যেনেনেই
যুক্তরাষ্ট্রের অক্সফোর্ডের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবসায়ীক কাজে যদি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ব্যবহার করে তাহলে ৪৭ শতাংশ মানুষ চাকরি হারাতে ভাবতে পারছেন আমেরিকার অধিকাংশ মানুষ এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স জন্য বেকার হয়ে যাবে।
আমাদের দেশের লক্ষ লক্ষ প্রবাসী মধ্যপ্রাচ্যে থেকে ফিরে আসতে হবে শুধু এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জন্য তখন আমরা কি করব কি খাব কি নিয়ে থাকবো।
এটির একটি ট্রেলার
একটা ঘটনা বলি মোটামুটি 13-14 সালের থেকে অথবা মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট নিয়ে বড় আকারে কাজ করে ফেসবুক ২০১৭ সালে এমন একটা ঘটনা ঘটেছিল ফেসবুকের হেডকোয়ার্টারে বাধ্য হয়েই কিছু দিনের জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার বন্ধ করা হয় ।
আসলে কি ঘটেছিল সেদিন
ফেসবুক একটি বিবৃতিতে জানায় তাদের চ্যাটবট গুলি নিজেদের সাথে কথা বলতে শুরু করেছিল , তারা এমন একটি ভাষা দিয়ে কথা বলা শুরু করেছিল যা মানুষের পক্ষে বোঝা খুবই মুশকিল , পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আগেই তারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কম্পিউটার বা মেসিন গুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলেন ফেসবুক।
টারমিনেটর টু সিনেমাটি সবাইতো দেখেছিল সেখানে কিভাবে পুরো মানব সভ্যতা কে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল রোবট আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স , সেই তারই একটি ট্রেইলার ফেসবুকের ভিতরে যাওয়া AI গুলি ।
যে ব্যাপারটা নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানী ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন এবং যে ব্যাপারটা কি এখনো খুবই ভয় পাচ্ছে অ্যালোন মাক্স সে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট পাওয়ার কে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা ঠিক হবে না।
এ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট কে তিনটি ভাগে ভাগ করেছে বিজ্ঞানীরা প্রথমটি হলো: week AI যেটা আমরা এখন ব্যবহার করছি তারপর হচ্ছে strong AI যেটার প্রকটতা মেশিনারি ব্যবহার করা হচ্ছে সবচেয়ে পাওয়ারফুল এবং মানুষ জগতের ধ্বংস নিয়ে আসবে যে সেটির নাম হচ্ছে singularity AI ।
singularity AI কি এবং কিভাবে কাজ করে
এই singularity AI হচ্ছে এমন যে নিজের চিন্তা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এবং নিজের ক্লোন অথবা নিজের আরো অনেক কিছু বানিয়ে ফেলতে পারে নিজের চিন্তাশক্তিকে পরিবর্তন করতে পারবে এবং নিজেদের কমান্ড করতে পারবে সে অনুযায়ী কাজ করতে পারবে তাকে সিঙ্গুলারিটি এ আই বলা হয়।
গবেষকরা বলছেন সিঙ্গুলারিটি কোনো মিথ্যে নয় সেটি একদিন অবশ্যই দেখা দিবে অনেকেই বলতেছে যে ২০৩০-২০৪০ এ নাগাদ এই সিঙ্গুলারিটির ব্যবহার শুরু হয়ে যাবে যখন প্রসেসর এর পাওয়ার কমে যাবে এবং ন্যানোটেকনোলজির মতো ব্যাপার চলে আসবে তখন হয়তো সিকিউরিটির আবিষ্কার হতেও পারে।
আমি যা বলতে চাই
এ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট আমাদের জীবনে প্রথম দিক দিয়ে অনেক অংশই ভালো এবং আলো সৃষ্টি করবে কিন্তু যত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইনভেনশন নতুন নতুন প্রসেসর এবং শক্তিশালী আমরা নিজেরাই জেনারেট করব।
আমি এবং আপনি এই টেকনোলজি সম্পর্কে ভালো বুঝি বানাবো যে কিন্তু আমাদের জানা উচিত এ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট কিভাবে এবং কেন আমাদের প্রয়োজন।(কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব)
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বা এ আই আমরা নিত্যনতুন যত ধরনের ডিভাইস বা সফটওয়্যার ব্যবহার করছি সবগুলোতেই এই আইন দেওয়া আছে।
কিন্তু সেগুলোতে আমাদের কোনো ক্ষতি নেই কিন্তু এটাকে আমরা উইক এ আই বলে গণ্য করি থাকি।
যদিও সিঙ্গুলারিটি এআই এখনো আমাদের জীবনে আসেনি তবে ভবিষ্যতে এটি নিয়ে বিজ্ঞানীরা যত পেছানো যায় এই সিঙ্গুলারিটি একে ততই মানুষ সভ্যতার জন্য মঙ্গল ময়।(কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব কিভাবে)
ভালো হইছে লিখাটা